লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে গরু পারাপারকালে তিন বাংলাদেশীকে বিএসএফ ও একজনকে বিজিবি আটক করেছে।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) সকাালে আটককৃত সুজনকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন সন্ধ্যায় মামলা দিয়ে বাংলাদেশি কিশোর সুজন মিয়াকে (১৮) পাটগ্রাম থানা পুলিশের নিকট দেয় বিজিবি।
বাংলাদেশি কিশোর সুজন মিয়াকে আটক করে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অপরদিকে ভারতে আটক বাংলাদেশিদেরকে মামলা দিয়ে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে বিএসএফ বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও আটককৃতদের পরিবার জানায়, শুক্রবার দিবাগত ভোর ৪ টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের জিমনাল এলাকার সীমান্তের ৮১৮ ও ৮১৯ নম্বর মেইন পিলারের নিকট দিয়ে উভয় দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) গরু পারাপারকারীরা গরু পারাপারের চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় ভারতীয় ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডাঙ্গারবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা ভারতের মেকলিগঞ্জ থানার ডাঙ্গারবাড়ি একই সীমান্ত পিলার এলাকা হতে তিন বাংলাদেশিকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের রহমানপুর জিমনাল গ্রামের আহের উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের (৫০) ও একই গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম মন্টু (৪৯) এবং একই উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুগলিবাড়ি গ্রামের তসলিম উদ্দিনের ছেলে আসাদ আলী (২০)।
পাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রাহমান বিএসএফের হাতে তিন বাংলাদেশি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুনেছি তাঁরা অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ায় বিএসএফ তাঁদেরকে আটক করে নিয়ে গেছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘বিজিবি মামলা দিয়ে সুজনকে থানায় দিয়েছে। আজ রোববার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক (এডি) ওমর খসরু ভারতীয় বিএসএফের হাতে তিন বাংলাদেশি আটকের বিষয়টি স্বীকার না করে বলেন, ‘তাদেরকে আটক করা হয়েছে এমন বিষয়ে ভারতীয় বিএসএফ আমাদেরকে জানায়নি। তাছাড়াও আটককৃত ব্যক্তিদের পরিবারও জানায়নি।