পটুয়াখালীর মহিপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারামারি এতে গুরুতর আহত আইয়ুব আলী ফকির (৫৫)।
এলাকা বাসি উদ্ধার করে আইয়ুব আলী ফকিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। আইয়ুব আলী ফকির হচ্ছেন মহিপুর থানার ধুলারসর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গঙ্গামতি গ্রামরের মৃত আহের আলী ফকিরের ছেলে।
গুরুতর আহত আইয়ুব আলী ফকির বলেন, ধুলারসর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে আমি নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমাকে খুজে বেড়ায়। শনিবার (১৫অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে আমার বাড়ির সামনের সরকারি ওয়াবদা রাস্তার উপর মোদিদোকানে কেনাকাটা করতে গেলে পথমধ্যে আমাকে পূর্ব শত্রæতার জেরে এলোপাথারি ভাবে মারতে থাকে।
পরে আমার মাথার উপরে বাংলা দা দিয়ে কোপদিলে আমি বাম হাত দিয়ে ফিরাইলে সেই কোপ আমার হাতে আঙ্গুলে লাগে। আমার ডাক চিৎকারে এলাকা বাসি এসে পরলে মারধর কারিরা পালিয়ে যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরি। এলাকাবাসি এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মো. হালিম মিয়া বলেন, আইয়ুব আলী ফকির আমার চিকিৎসাধীনে হাসপাতালে ভর্তি আছেন (কেবিনে) তার বাম হাতের আঙ্গুলে সেলাই লেগেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম রয়েছে। এবিষয়ে ঐ মোদি দোকানের পাশে থাকা আলতাফ ফকির, খোকন প্যাদা ও বশার ফকির এরা জানান, রাজা মিয়া মোল্লা ও বশার মোল্লাসহ আরো অনেকে একাত্রিত হয়ে পূর্ব শত্রæতার জেরে আইয়ুব আলী ফকিরকে এলোপাথারি ভাবে মারতে থাকে। ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি সহ আমরা পরলে মারধর কারীরা পালিয়ে যান। এবিষয়ে রাজা মিয়া মোল্লা ও বশার মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য শাহ আলম সিকদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি । এবিষয়ে ধুলাসর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রহিম হাফেজ এর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, সকাল থেকে পটুয়াখালী ছিলাম এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।