সূত্র: আনন্দবাজার
পূর্ব লাদাখে চীন মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল বলে যে খবর রটেছে তাকে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। টুইট করে সেই ‘ভিত্তিহীন খবর’-এর প্রতিবাদও জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এ-পারে পূর্ব লাদাখে দু’টি শিখরচূড়া থেকে ভারতীয় সেনাদের হঠাতে গত অগস্টে চীন মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল বলে জানিয়েছেন এক চীনা অধ্যাপক। একটি ব্রিটিশ দৈনিকে।
তিনি জানান, সীমান্তে দু’দেশ একে অন্যের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে না, এই চুক্তি মেনে চলতে গিয়ে পূর্ব লাদাখের দু’টি শিখরচূড়া থেকে ভারতীয় সেনাদের হঠাতে মাইক্রোওয়েভ অস্ত্রের প্রয়োগ করেছিল চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। গত ২৯ অগস্ট ওই অস্ত্রের প্রয়োগেই ভারতীয় সেনারা বমি করতে শুরু করেন। শিখরচূড়া ছেড়ে নেমে আসতে বাধ্য হন। তখন চীনা সেনারা ওই দু’টি শিখরচূড়ায় তাঁদের কর্তৃত্ব কায়েম করে বলে দাবি করেন ওই চীনা অধ্যাপক।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘ওয়াশিংটন এগজামিনার’-এ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর তরফে করা একটি টুইটে বলা হয়, ‘‘পূর্ব লাদাখে মাইক্রোওয়েভ অস্ত্রের প্রয়োগ নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এটা ভুয় খবর।’’
এও জানানো হয় যে দু’টি শিখরচূড়া চীন দখল করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি পূর্ব লাদাখে।
পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক অফিসার বলেন, ‘‘চীনের দিক থেকে এটা আমাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা। খাঁটি হলেও খুবই কাঁচা!
গত মে মাস থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার এ-পারে পূর্ব লাদাখে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গত জুনে চীনা সেনাবাহিনীর আক্রমণে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। এই উত্তেজনার এখনও অবসান হয়নি। গত এক সপ্তাহে দু’টি শীর্ষ সম্মেলনের ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং দু’-দু’বার মুখোমুখি হওয়ার পরেও।
ব্রিটিশ দৈনিকে সম্প্রতি চিনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক জিন কানরং দাবি করেন, ‘‘গত ২৯ অগস্ট চীনের মাইক্রোওয়েভ অস্ত্রের প্রয়োগর ফলে দু’টি শিখরচূড়ায় মোতায়েন ভারতীয় সেনারা বমি করতে শুরু করেন। সেখানে আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে তাঁরা পালিয়ে যান। এই ভাবেই আমরা ওই দু’টি শিখরচূড়া পুনর্দখল করি।
এই দাবির প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক অফিসার বলেন, ‘‘গত ২৯ অগস্ট কেন, কোনও দিনই এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি পূর্ব লাদাখে। যদি ওরা (চীন) দু’টি শিখরচূড়া দখল করে থাকে তা হলে কেন চিন আমাদের এলাকা থেকে সরে যেতে বলছে? এখনও দু’টি শিখরচূড়াতেই মোতায়েন রয়েছে আমাদের সেনারা।