পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী মেজবা উদ্দিন সাব্বির আহমেদ (৩৯) কে। হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসের সভা কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়া পৌর এলাকার বারখাদা মীরপাড়া এলাকা থেকে কুষ্টিয়া বাড়াদী উত্তরপাড়া এলাকার মৃত হানু মালিথার ছেলে আতিউর রহমান ওরফে আতাই (৩০) এবং নিহত মেজবা উদ্দিন সাব্বির আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলা এলাকার শামসুলের মেয়ে রজনী খাতুন (২৫)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিরপুর উপজেলার বারইপাড়া ইউনিয়নের কবরবারিয়া এলাকার একটি বাঁশঝারের ভেতর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ডেগার (ছুরি) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, নিহত মেজবা উদ্দিন সাব্বির আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী রজনী খাতুনের সঙ্গে আতাইয়ের অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি সাব্বির জেনে যাওয়া এবং তাদের পরকীয়াতে বাধা দেওয়ার কারণে সাব্বিরের সঙ্গে রজনীর পারিবারিক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ৩ অক্টোবর ভোর ৪ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরের আড়ুয়াপাড়া ছোট ওয়ার্লেস গেট সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় আসামি আতাই রজনী খাতুনের সহযোগিতায় তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর নিহত সাব্বিরের বোন রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।