জগন্নাথপুর সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক হাসানের অপসারণের দাবীতে জগন্নাথপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে কলম বিরতির অংশ হিসাবে ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে ২য় দিনের কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক হাসানের বিরুদ্ধে অসাধু আচরণ, ক্ষমতার অপব্যাবহার সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অনিদিষ্ট কালের কলম বিরতি কর্মসূচীর অংশ হিসাবে এ কর্মসূচী পালন করছেন দলিল লেখক সমিতির সকল সদস্যরা ।
এতে অফিসের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে অচলাবস্থা বিরাজ করছে ।
দলিল রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ায় সোমবার (৩ অক্টোবর ) সকাল থেকে উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা সেবা গ্রহীতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে সাবরেজিস্টার আব্দুর রাজ্জাক হাসানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।
তার ক্ষমতার দাপট ও অনিয়মের তথ্য প্রমান ফাঁস হতে চলছে।
তবে উপজেলা দলিল লেখক সমিতি পূর্বের ন্যায় তাদের কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের দাবি, এ ধরনের একজন অফিসারের উশৃংখল আচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ব্যাক্তিকে অপসারণ না করা হলে আমরা আমাদের কর্মসৃচী থেকে পিচপা হওয়ার সুযোগ নেই।
তারা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসির আলীর সাথে অসাধু আচরণের তীব্র নিন্দাও জানান।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক হাসানের বিরুদ্ধে যোগদানের পর থেকেই অসাদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যাবহার সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেন এলাকার গর্ন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন এলাকার সেবা গ্রহীতারা।
এসব অভিযোগের প্রতি তোয়াক্কা না করে তিনি দাপটের সাথে চলতে থাকেন।
তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সপ্তাহে ৫ দিন অফিস করার নিয়ম থাকলেও তিনি ২ দিন অফিস করে বাকী দিনগুলো ফাঁকি দিয়ে থাকেন।
তিনি সুবিদাজনক সময়ে অফিস করতে চাইলে শুরু থেকেই এ নিয়ে বিবাধ সৃষ্টি হয়।
অবশেষে তার কথা মতো প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও সোমবার প্রথমে ধায্য করা হলেও তিনি রবিবার বাদ দিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার ঠিক করেন। তবে তার ধায্যকৃত দিনে অফিস না করে মনগড়া অফিস করা নিয়েও জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার রয়েছে।
প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় চাকুরীর সুবাদে অনিয়মের পথ বেঁচে নেন আব্দুর রাজ্জাক হাসান, এমনটাই মনে করেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
তিনি দলিল রেজিষ্ট্রি করতে আসা লোকজনকে নানা অজুহাতে হয়রানি করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া সরকারি কোন বরাদ্ধ না থাকলেও অফিস সংস্কারের নামে তার অফিস রুম টাইলস করা নিয়েও বিতর্কের জন্ম দেন এ কর্মকর্তা।
এ নিয়ে তিনি বলেন দলিল লেখক ও এলাকার ব্যাক্তিদের দানে অফিসে কাজ হয়েছে তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জনসাধারণ অফিস ফাঁকি, অসাধাচরণ সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন ।