কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অটোরিকশায় এক কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মালেক ও অটোরিকশাচালক বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান রোববার (২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এক পুলিশসহ দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জেলার বুড়িচং রাজাপুর ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রী মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কের লড়িবাগএ সময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা এসে তার সামনে দাঁড়ায়। ছাত্রী অটোরিকশায় ওঠার পর পুলিশের পোশাক পরিহিত এক লোক তাকে উত্ত্যক্ত করেন। আর চালক অটোরিকশাটি না থামিয়ে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেন। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করে দেওয়ারও প্রলোভন দেখান এএসআই
সেই সঙ্গে এ বিষয়টি গোপন রাখার জন্যও মেয়েটিকে হুমকি দেন তারা। এ ঘটনার পর মেয়েটি কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। তার পরিবার থেকে কলেজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে একপর্যায়ে ছাত্রীটি বিষয়টি জানান। পরে থানায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, অটোরিকশায় থাকা লোকটি কুমিল্লা বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক ও অটোরিকশা চালক মো. বিল্লাল হোসেন (৪৪) বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কণ্ঠনগর গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে।
এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপার ও আদালতের নির্দেশনায় ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
রাস্তার মাথায় যান।