প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে একটি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পরপর দুই বছর দেশের জাতীয় মাছ পাওয়া গেল হালদায়। হালদায় অবৈধ জাল জব্দে অভিযান পরিচালনাকারী হাটাহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা ইলিশ ধরা পড়ার এ তথ্য জানান।
অভিযান পরিচালনাকালে নদীর মোহনার নিকটবর্তী চাঁদগাও অংশে অবৈধভাবে পাতানো কারেন্ট জালে একটি ছোট্ট ইলিশ মাছ আটকা পড়েছিল।পরে মাছটি জীবিত উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। হালদা যেখানে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে মিশেছে, সেই মোহনার কাছাকাছি চান্দগাঁও অংশে অবৈধভাবে পাতানো একটি জালে ২৬৫ গ্রাম ওজনের ছোট ইলিশটি পাওয়া যায় শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসার্চ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, কেবল গতকাল বা গতবছর নয়, এর আগেও হালদা নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। জেলেরা মাঝেমধ্যেই ২/১টা পান এখনও।
তিনি আরও বলেন, ৮ থেকে ১০ বছর আগে হালদায় ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েছিল। সেটি আমি নিজে দেখেছি। নদীর মদুনাঘাট অংশে প্রজনন মৌসুমে কিছু কিছু ইলিশ পাওয়া যায়।
এর আগেও গত বছর অক্টোবরে এক অভিযানে একটি ছোট আকারের ইলিশ পেয়েছিল নৌ-পুলিশ। তবে প্রাকৃতিক মৎস্যের এই প্রজনন কেন্দ্র ইলিশ পাওয়ার আরও পুরনো ঘটনাও আছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কিবরিয়া আরও জানান, কর্ণফুলী একসময় ইলিশের মাইগ্রেশন রুট ছিল। দূষণ প্রকট আকার ধারণ করায় এখন আর কর্ণফুলীতে ইলিশ সেভাবে মেলে না। ইলিশের শরীরে অসমো রেগুলেশন নামে একটি ফিজিওলজিক্যাল সিস্টেম থাকে। সেটা সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে যখন থাকে- তখন এক রকম, আবার নদীতে গেলে অন্য রকম হয়। এ কারণেই ইলিশ লোনা পানি ও মিঠা পানি দুই অবস্থাতেই থাকতে পারে বলে জানান তিনি।