কেউ মা হারা, কেউ বাবা হারা। কারো আবার কেউ-ই নেই। এমন শিশুরাই বেড়ে উঠে পথেঘাটে, রেলস্টেশনে। কেউ পেলে খায়, কেউ আবার চেয়ে খায়।না পেলে না খেয়েই কাটে যায় বেলা। কোনো কোনো শিশু একটু আধটু রোজগারও করে। টোকাইয়ের কাজ কিংবা স্টেশনে বোঝা টেনে কিছু পেলে তা দিয়ে মেটায় পেটের ক্ষুধা। ক্ষুধা মিটলেই ঘুম, সেটা যেখানেই হোক। মা-বাবার আদর ছাড়া বেড়ে ওঠা এই সন্তানগুলো জানে না তাদের অধিকার। ক্ষুধার তাড়নায় এসব শিশুরা জড়াচ্ছে নানা অপরাধে। চট্টগ্রামের ছিন্নমূল পথ শিশুদের এমনই জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে।
কথা হয় চট্টগ্রামের শিশুদের সঙ্গে। তারা জানায়, তাঁদের সব কথাতেই শুধু ক্ষুধা আর ক্ষুধা। তাঁদের ছোটোছুটিই যেন ক্ষুধা মেটানোর জন্য। ঘরের অন্য শিশুদের মতো নেই সুন্দর জামা কাপড়, নেই খাওয়া দাওয়া। মা বাবার মমতা ভালোবাসা বঞ্চিত এই শিশুগুলো বেড়ে উঠছে পথঘাট কিংবা রেল স্টেশনে। জানা যায় ছোট্ট এটুকু জীবনের অভিজ্ঞতা কতো নির্মম
সচেতন নাগরিক কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী জানান,
শিশুদের এমন অবহেরায় বেড়ে উঠা সমাজের জন্যই বিপজ্জনক।
চট্টগ্রামে ঠিক কতো সংখ্যক এমন পথশিশু আছে তার হিসেবও রাখে না কেউ। এই শিশুদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করা তাদের খাবার ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে শুধু সরকার নয়, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়েও উদ্যোগ দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।