রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

কিশোরগঞ্জের আলোচিত ‘পাগলা মসজিদ’ সম্পর্কে জানুন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৩৫ সময় দর্শন

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল।

তিনতলা বিশিষ্ট পাগলা মসজিদে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত।মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়েছে। ৩০ হাজার মুসুল্লি যাতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে সেজন্য ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক স্থাপত্য নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

 

জনশ্রুতি আছে, ঈসা খানের আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক এক ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে ওই স্থানেই মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটি তখন থেকেই ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। অন্য আরেক জনশ্রুতি অনুসারে, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের ‘পাগলা বিবি’র নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।

সমাজ কল্যাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়
পাগলা মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় করা হয় বলে জানা গেছে। এর আগে মসজিদের আয় থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কিশোর গঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দেওয়া হয়েছিল।

এবার  পাওয়া গেছে সাড়ে ১৫ বস্তা টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক এই পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক সাধারণত তিন মাস পর পর খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দানসিন্দুক খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো-কমানো হয়েছে। এবার খোলা হয়েছে দুই মাস ২৯ দিন পর। প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের দানসিন্দুক খোলা হয়। এবার মোট সাড়ে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। মনের আশা পূরণ হয়
খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়-এটাই সাধারণের বিশ্বাস। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71