ভৌগোলিক কারনে বঙ্গপোসাগরের বাংলাদেশ উপকূলই ইলিশের প্রজননের জন্য সবচেয়ে আদর্শ স্থান স্বাভাবিক ভাবে বৈশ্বিক ইলিশ উৎপাদনের সিংহভাগই হচ্ছে বাংলাদেশ। ঝাটকা সংরক্ষন অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা ও প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সুরক্ষা কার্যক্রম ও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ইলিশের উৎপাদন আহরণ ও বৃদ্ধির লক্ষে সরকার যে পরিকল্পনা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য পয়েন্ট ও অভয়ারন্য এলাকা প্রয়োজনে বাড়াতে হবে। পটুয়াখালীর গলাচিপায় এ সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক আয়োজিত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার নের্তৃত্বে জেলেদের মাঝে রবিবার বেলা ১২ টায় উলানিয়া বাজার, চর কাজল, চর বিশ্বাস, পানপট্টি, বোয়ালিয়া, আমখোলা, গোলখালী, পক্ষিয়া, বদনাতলী সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সচেতনতামূলক সভা ও মাইকিং করা হয়। এ সময় জেলেদের উদ্দেশ্যে মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর-২০২০ পর্যন্ত ২২ দিনের এ কর্মসূচী তে ইলিশ না ধরার জন্য এবং ইলিশ মাছ না খাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময়ে যারা ইলিশ মাছ ক্রয় করবেন তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা ধরবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ সংরক্ষনের জন্য সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয় বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছেন সরকার। সরকারের এই আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রয় করলে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদন্ড বা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ধলা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নুর সায়েদ মাতব্বর, ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিনসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।