এক যুগ ধরে বন্ধ বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের তিন হল। সংস্কার করা হলে থাকতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। সেখানে কর্মচারীরা পেতেছেন সংসার। হল খোলার দাবিতে
বার বার আন্দোলনে নামলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর হল দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় শেরেবাংলা, আকতার আলী মুন ও তিতুমীর হল। সেই যে বন্ধ হয়েছে, এরপর আর খোলা হয়নি হল তিনটি। এমনই অবস্থা বিরাজ করছে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বন্ধ থাকতে থাকতে শেরেবাংলা হলের ভবনে ধস নামে, ফলে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। অন্য দুটি হলের জানালা-দরজা থেকে শুরু করে সব সামগ্রী একের পর এক চুরি হয়। সম্প্রতি সেসব সংস্কার করা হয়েছে, কিন্তু তার পরও খুলছে না হল। সেখানে সংসার পেতেছেন কর্মচারীরা।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক ভিপি আহসানুজ্জামান চৌধুরী সুইন জানান, এরই মাঝে ছাত্রীদের জন্য পাঁচতলা একটি ভবন নির্মাণ হলেও সেটা চালু হয়নি। হল খোলার দাবিতে বার বার আন্দোলনে নামলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তবে আগামী মাসের মধ্যেই হলগুলো খুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মাহতাব হোসেন মণ্ডল।
কলেজে বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার ছাত্র। ছাত্রদের শতকরা ৮০ জনের বাড়ি অন্য জেলায়। তারা কলেজের আশপাশে বিভিন্ন মেসে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যান।