ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায় অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা করছেন পৌর মেয়র ফারুক হোসেন এমন অভিযোগ তুলেছেন সাত কাউন্সিলর। এছাড়া কাউন্সিলরদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হুমকি-ধমকি, পৌরসভার মিটিংয়ে কাউন্সিলদের না ডাকাসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাউন্সিলররা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর মেয়র ফারুক হোসেন।কাউন্সিলররা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি পৌর মেয়রের।
অভিযোগে জানা যায়, হরিণাকুণ্ডু পৌর মেয়র ফারুক হোসেন সব কাজ নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী করেন। পৌরসভার সংস্থাপন কমিটি অনুমোদন ও মাসিক মিটিংয়ে কোনো আলোচনা না করেই টাকার বিনিময়ে তার চার আত্মীয়কে নিয়োগের চেষ্টা করছেন। যাদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের সবার বাড়ি একই গ্রামে।
এছাড়া লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, পৌরসভার কোনো মিটিংয়ে মেয়র কোনো কাউন্সিলরদের ডাকেন না। এমনকি কারণে-অকারণে কাউন্সিলরদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়, দেওয়া হয় হুমকি-ধমকিও। পৌরসভার টাকায় মেরামত করা একটি ট্রাক নিজ ইটভাটার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে মেয়রের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন জানান, যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা একই গ্রামের হলে সমস্যা কোথায় ? তারা দীর্ঘদিন পৌর সভায় মাস্টাররোলে কাজ করেছেন। তাই তাদের বিধি অনুযায়ী স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আর পৌরসভার যে গাড়িটি আমার ইটের ভাটাই ব্যবহার করা হচ্ছে তার জন্য প্রতি মাসে পৌরসভাকে রাজস্ব দেওয়া হয়। কিছু কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, ষড়যন্ত্র করছেন। তবে তারা লাভ করতে পারবেন না।