চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদীতে পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসীদের আয়োজনে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
গত ৬০ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ৭টি দল অংশ নেয়।পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ভবেশ হালদারের দল প্রতিযোগী ছয় দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে সোমবার বিকেল থেকে মাথাভাঙ্গা নদীর দু’পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।
আয়োজকরা জানান, উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ভিমখালী ঘাট থেকে মেমনগর সেতু পর্যন্ত এক কিলোমিটার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা। তবে তিনটার পর থেকে নদীর দুই পাড়ে জড়ো হতে থাকেন দর্শকরা।
এক দর্শক জানান, প্রতি বছর মাথাভাঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতা দেখতে নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হক জানান, যুব সমাজকে ঐহিত্যবাহী খেলার প্রতি আকৃষ্ট করতেই প্রতিবছর নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা দেখতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী পাড়ে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর। হাজী আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে পুরষ্কার এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির এডিএম (প্রশাসন) শেখ শাহাবউদ্দীন, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর ও মদনা-পারকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান এএসএম জাকারিয়া আলম।