নোয়াখালীতে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ ও এক প্রবাসীর বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী লন্ডন প্রবাসী মো. জোবায়ের এর ভাই মোহাম্মদ নুরুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ নুরুল্লাহ বলেন, ‘আমার ভাই মো. জোবায়ের ১৯৯৮ সালে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষীনারায়ণপুর এলাকার সাড়ে ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এক বছর পর পৌরসভার নকশা অনুযায়ী চারতলা ভবন নির্মাণ করেন।
তিনি প্রবাসে থাকায় বাড়িটির ক্ষমতা আমাকে হস্তান্তর করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি বাড়িটি নিলামে বিক্রি হবে’।
মোহাম্মদ নুরুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইসলামি ব্যাংক মাইজদী শাখায় যোগাযোগ করলে জানতে পারি, একটি জালিয়াত চক্র দলিল জালিয়াতি করে জাল দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে ২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এ বিষয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ জমা দিলে তিনি জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে নোয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চক্রটি ইসলামি ব্যাংক দত্তেরহাট শাখা থেকে একইভাবে জাল দলিল দেখিয়ে কোটি টাকা ঋণ নিতে চেষ্টা করেন’।
বাড়ি দখলের অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ নুরুল্লাহ বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর জালিয়াত চক্রের সদস্য মো. আনোয়ার খান ইসলামি ব্যাংক দত্তেরহাট শাখার ম্যানেজারের উপস্থিতিতে দারোয়ানকে মারধর করে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ বিষয়ে সুধারাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমাদের বাড়িতে উঠতে হয়। কিন্তু মো. আনোয়ার খান উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ডাকাতির মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
মোহাম্মদ নুরুল্লাহ আরও বলেন, জালিয়াত চক্রের সুরাইয়া আফরিন-আনোয়ার খান বাড়ির মিথ্যা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেখিয়ে এই কাজ করছে। তারা বলছে টাকার অভাবে আমার ভাই জমি বিক্রি করেছে। আসলে রেকর্ড কিপার হুমায়ুন কবির গাজি রেকর্ড বইয়ে টেম্পারিং করে এসব জালিয়াতি কাজে সহযোগিতা করছে। আমি এই চক্রের সাথে জড়িত সকলের বিচার চাই।
এ বিষয়ে রেকর্ড কিপার হুমায়ুন কবির গাজি বলেন, বিষয়টি দেড় বছর আগে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে আমি নোয়াখালী অফিসে নাই। ৩ মাস আগে আমি দিনাজপুরে বদলি হয়েছি।
ইসলামি ব্যাংক দত্তের হাট শাখার প্রিন্সিপল অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন বলেন, ওভার ডিউ হয়ে যাবার কারণে আমি টাকা সংগ্রহের জন্য ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার খান সাংবাদিকদের জানান, আমার কাছে সকল কাগজপত্র আছে, তাদের অভিযোগ সত্য নয়।