বাড়িতে কেউ থাকেন না। তবুও একটি আবাসিক ভবনের মিটারে আগস্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। পাবনার চাটমোহর পৌর সদরে জিরো পয়েন্ট এলাকার অধীর কুমার সরকার নামের এক বিদ্যুৎ গ্রাহকের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তবে ভুলবশত এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বাড়ির মালিক অধীর কুমার সরকার কয়েক বছর আগে মারা যান। কিন্তু বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগটি তার নামে রয়েছে। তার তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে অনুপ কুমার সরকার বাড়িটির দেখভাল করেন। তিনি চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করেন। গত ৬ মাস ধরে বাড়িতে কেউ থাকেন না।
এদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার রেজাউল করিম পৌর সদরের জিরো পয়েন্টে অধীর কুমার সরকারের বাড়ির আগস্ট মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রতিবেশী বকুল রহমানের কাছে দেন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ বিল দেখে চমকে উঠেন। পরে বিষয়টি তিনি মোবাইল ফোনে অনুপ কুমার সরকারকে জানান। বিলের পরিমান শুনে তিনিও হতবাক হন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিদ্যুৎ বিলের কপিতে দেখা যায় সেপ্টেম্বর মাসের বিল এসেছ ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬১ টাকা। আর ব্যবহার হয়েছে ৯০ হাজার ১৫০ ইউনিট। বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ও এ জিএম (অর্থ) এর স্বাক্ষর সম্বলিত ওই বিল।
বিল হাতে পাবার পর মিটার রিডার রেজাউলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দেখছি বলে এই বিলের কপিটি নিয়ে নিতে চান। পরে রাতে আবারও নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় এই বিল। সকালে এজিএমকে (অর্থ) দিয়ে জোরপূর্বক আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার।
এ বিষয়ে বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন জানান, ভুল হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আকমল হোসেন জানান, বিলটি কেউ ক্রসচেক করলে এমনটি হতো না। যদি কারও গাফিলতি থাকে খতিয়ে দেখা হবে। গাফিলতি পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।