দক্ষিণ ভিয়েতনামের একটি বারে আগুনে লেগে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও ওই ঘটনায় ৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
ভিয়েতনামের সরকারি নিউজ এজেন্সি অনুসারে, ‘হো চি মিন সিটির কাছে শিল্প উৎপাদন কেন্দ্র বিন ডুং প্রদেশের বারে মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগে। এতে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। ’
মঙ্গলবার গভীর রাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একদিনেরও বেশি সময় লেগেছে। আগুন থেকে বাঁচতে ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আগুনের সময় বারটিতে প্রায় ৬০ জন লোক ছিল। প্রথমে বারটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে পরে তা দ্রুত তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ভবনটি দাহ্য পদার্থে পূর্ণ ছিল। ভবনের তিনতলার এক টয়লেট থেকে বেশ কয়েকজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছে উদ্ধারকর্মীরা’
বারে আগুনের ঘটনায় অনেকের শরীরের বেশিরভাগ অংশ গুরুতরভাবে পুড়ে গেছে। এখনো অন্তত পাঁচজন ভুক্তভোগী ভেন্টিলেটরে আটকে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন জননিরাপত্তা স্বার্থে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে আগুনের কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও দেশটির শহর ও প্রদেশগুলিতে অবস্থিত কারাওকে বার-সহ অনন্য আগুনের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সুরক্ষার মান নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিয়েতনামের কারাওকেগুলি খুব জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি এই স্থানগুলোতে নিরাপত্তার মান উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত মাসেও হ্যানয়ের আরেকটি কারাওকে বারে আগুন লেগে তিন দমকলকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।