সোমালিয়ায় পুষ্টিহীনতায় চলতি বছর সাত শতাধিক শিশু মারা গেছে। আগামীতে দেশটিতে আরও বেশি শিশু মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ)। এমনকি সোমালিয়ার কিছু অংশ দুর্ভিক্ষের শিকার হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে টানা পঞ্চমবারের মতো বর্ষা মৌসুমে কোনো বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। যার প্রভাব পড়েছে সোমালিয়ায়। ২০১১ সালে সোমালিয়ায় এক চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হয়। যাদের বেশিরভাগই শিশু।
ইউনিসেফ সোমালিয়া প্রতিনিধি ওয়াফা সাইদ জেনেভা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে সারাদেশে খাদ্য ও পুষ্টি কেন্দ্রে প্রায় ৭৩০ শিশু মারা গেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক মৃত্যুর খবর নেই, রেকর্ডড করা সম্ভব হয়নি।
কেন্দ্রগুলোতে অপুষ্টির পাশাপাশি হাম, কলেরা বা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। দিন দিন পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা তীব্র আকার ধারণ করছে।
মোগাদিসুতে ইউনিসেফের মুখপাত্র ভিক্টর চিনিয়ামা বলেন, আমরা সম্পূর্ণ চিত্র জানতে পারছি না। আমি অনেকপরিবারের সাথে দেখা করেছি, যাদের বাচ্ছারা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে।
ইউনিসেফ বলেছে, শিশুদের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সাম্প্রতিক প্রায় ১৩ হাজার শিশু হামে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮ শতাংশ শিশুর বয়স পাঁচ বছরের কম।
সাম্প্রতিক সোমালিয়ার জন্য অর্থ সাহায্য বেড়েছে। জাতিসংঘ সোমালিয়ার এ পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৬ কোটি ডলার সাহায্যের আবেদন করে, যার ৬৭ শতাংশ জোগাড় হয়েছে। তবে ত্রাণ কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থ জোগাড় করতে অনেক সময় লেগেছে।
ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিলের সোমালিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর অড্রে ক্রফোর্ড বলেন, সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের বিষয়ে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া যায়, তাহলে অকল্পনীয় হারে শিশু মৃত্যু হবে।