একসময়ের তলা বিহীন ঝুড়ির তকমা পাওয়া বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব মিডিয়ায় একসময় বাংলাদেশ সংবাদের শিরোনাম হতো ঝড় বন্যা জলোচ্ছাস আর দুর্ঘটনার খবরে। আর এখন বাংলাদেশের অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির বিশ্লেষণ হয়।
এসব অর্জন এসেছে একজনের দক্ষ নেতৃত্বে। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন। ৭৪ বছরে পা রেখেছেন শেখ হাসিনা।
অগ্রগতির সূচকে আজ বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে, তা অর্জন সহজ ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসন আর গণতন্ত্রহীনতা গ্রাস করে বাংলাদেশকে। উন্নয়নের চাকা ঘুরতে শুরু করে উল্টো পথে। এমন বাস্তবতা থেকে গণতন্ত্র আর উন্নয়নে পথে বাংলাদেশের যে প্রত্যাবর্তন, তার কারিগর শেখ হাসিনা।
জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের নিভৃত পল্লী টুঙ্গীপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতু্ন্নেসা দম্পতির প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা, বাবা মায়ের প্রিয় হাসু।
শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। দেখেছেন মুক্তিকামী শোষিত বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিতে পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরন্তর সংগ্রাম।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা কলেজে আসার আগে থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল জীবনে ৬২’র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের আন্দোলনে ছিলেন।
৭৫-এ ঘাতকরা পরিবারের প্রায় সবাইকে হত্যা করে। ৮১ সালে যখন দেশে ফিরেন, প্রিয় মাতৃভূমি তখন যেন হারানো শ্মশান। সেই শোক পরিণত হলো শক্তিতে। স্বৈরশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শুরু হয় নিরন্তর সংগ্রাম। আমির হোসেন আমু জানান, কঠিন এক সময়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।
৯৬ তে প্রথম সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেয়া। এরপর ২০০৯ থেকে সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরপর তিন মেয়াদে বাংলাদেশের অর্জন চোখে পড়ার মতো।
রাজনৈতিক জীবনে সামরিক শাসক আর উগ্রবাদীরা বার বার হত্যার চেষ্টার চেষ্টা করে তাকে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ জানান, শেখ হাসিনা আগেই বলেছেন বুলেট আমাকে তাড়া করছে কিন্তু আমি থামবো না। আজ বিশ্বে মর্যাশীল নেত্রীর তালিকায় শেখ হাসিনার নাম।