ধর্ষণের শিকার দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমীনের কথা কি মনে আছে সবার? ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট কিছু পুলিশ সদস্যের লালসার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল তাকে। যার প্রতিবাদে ফুঁসে
উঠেছিল দিনাজপুরের মানুষ। সে দিন থেকেই সারাদেশে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে।
মা’য়ের সাথে দেখা করতে ঢাকা থেকে দিনাজপুরে বাড়ি ফিরছিল কিশোরী ইয়াসমিন।রাতে দশমাইল মোড়ে নামলে একটি চায়ের দোকান থেকে কিছু পুলিশ সদস্য তাদের ভ্যানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে। শহরে ঢোকার আগে রানিগঞ্জ মোড়ে রাস্তার পাশে ফেলে যায় মরদেহ।
ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন প্রথমে দশমাইল এলাকায় সমবেত হতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় আন্দোলনে। সেখানেও নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন পাঁচজন। গুলিবিদ্ধ আরও অনেকে। পরে আন্দোলনের মুখে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারে ফাঁসির রায় হয় এবং রায় কার্যকরও হয়।
ঘটনার ২৭ বছর পরও সেদিনের দুঃসহ স্মৃতিতে এখনও ডুকরে কেঁদে ওঠেন ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম।
সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, এ রকম পাশবিক ঘটনার প্রায় তিন দশক পরেও তৈরি হয়নি মূল্যবোধ, থেমে নেই নারী নির্যাতন।
দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বলছেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে যেসব মামলার বিচার এখনও হয়নি, তা দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
ইয়াসমিন ট্রাজেডির পর প্রতিবছর ২৪ আগস্ট সারা দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়।