লাদাখ সীমান্তে যখন সংঘাত চলছে তখন চীনের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রের তথ্য সামনে আনলেন ভারতের গোয়েন্দারা। চীনের ইশারাতেই জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তান অস্ত্র ঢোকাচ্ছে। পাকিস্তানকে সেই সমস্ত অস্ত্র সরবরাহ করছে চীন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে চীন নির্দেশ দিয়েছে, গোটা উপত্যকায় অস্ত্রে ছয়লাপ করে দিতে। প্রমাণ স্বরূপ বলা হয়েছে, গত আড়াই মাসে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে যত অস্ত্র উদ্ধার করেছেন ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তার অধিকাংশের গায়েই চীনের চিহ্ন রয়েছে।
তবে পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে অঞ্চলগুলো অনুপ্রবেশপ্রবণ সেখানে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বেষ্টনি আরও কঠোর করেছে বিএসএফ।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ঢোকানো হচ্ছে কাশ্মীরে।
সরকারি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শীত বাড়লেই নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে লোক ঢোকানো শুরু করতে পারে পাকিস্তান। তার কারণ, ওই সময় ঝোপঝাড় বড় হয়। তাছাড়া তুষারপাতের সময়কেও অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তান। তাই এখন থেকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীকে।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে হেক্সাকপ্টার কিনেছে পাকিস্তান। অস্ত্র পাঠানোর জন্য সেগুলোকে ব্যবহার করছে।
তবে কাশ্মীরের স্থানীয়রাও যে এ বিষয়ে যুক্ত হচ্ছে তাও বলা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে, যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যেও। গত ১০ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাশ্মীর গিয়েছিলেন সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। বিএসএফ ও সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে এসেছিলেন তিনি। তার মধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দিন কয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলা থেকে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে গোলাবারুদ-সহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ধৃত তিনজন দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা। তারা রাজৌরিতে অস্ত্র আনতে গিয়েছিল। অস্ত্রগুলো ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছিল বলে জানা যায়।