নজিরবিহীন বন্যায় ভাসছে সিলেট অঞ্চল। এদিকে রানওয়েতে পানি ওঠায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সিলেটসহ হাওড়াঞ্চলে দেখা দিয়েছে আবারও ভয়াবহ বন্যা। সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় সব কটি উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে কয়েক লাখ মানুষ। এ অবস্থায় পানিবন্দিদের উদ্ধারে প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
এবার বন্যার আরও ভয়ংকর রূপ। কানাইঘাটসহ সিলেটের সীমান্তবর্তী চার উপজেলা থইথই পানিতে তলিয়ে। উজানের ঢলের সঙ্গে যোগ হওয়া অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতে গ্রামের পর গ্রাম ভাসছে।
পানির তীব্র স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় আশ্রয়ের খোঁজে শেষ সম্বল হাতে নিয়ে নিজ ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বানভাসিরা।
শুধু সীমান্তবর্তী জেলাই নয়, অব্যাহত এই ঢল থেকে রেহাই পাচ্ছে না সিলেট সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকাও। সিলেট নগরীর ১০টি ওয়ার্ড ছাড়াও নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসীও।
এদিকে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকাসহ ১২ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুদিন থেকে বিদ্যুৎবিহীন সুনামগঞ্জবাসী। এদিকে জেলার সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়াও তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরের নদ-নদীর পানি বাড়ায় লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সীমান্তের ওপারে ভারি বর্ষণের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘটসহ ১৬ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।