পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বামীর টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে হয়েছে স্ত্রী। পরে স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে স্ত্রীর প্রতারণা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামে।
ভুক্তভোগী স্বামী মো. জাকির হোসেন হাওলাদার (৪৫) হচ্ছেন মৃত. সুরত আলী হাওলাদারের ছেলে। মো. জাকির হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী ছালমা বেগম (৩৫) হচ্ছেন একই গ্রামের ছালাম বাদশার মেয়ে। মো. জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক পারিবারিকভাবে ছালমা বেগমকে আমি বিবাহ করি। বিবাহের পর আমরা সুখেই দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে ইলিশ মাছের সাভার (ট্রলার, জাল) নিয়ে বাড়িতে আসি।
এন পর থেকেই আমার স্ত্রী ছালমা বেগম আমার কাছে তার নামে জমি ক্রয়ের জন্য টাকা চায়। আমি আমার মাছের সাভার বিক্রি করে ৩ লক্ষ টাকা আমার স্ত্রীকে দেই। টাকা নিয়ে আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ীতে চলে যায় এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি যোগাযোগের চেষ্টা করলে লোকমুখে শুনতে পাই আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ী থেকে ঢাকা চলে যায়। পরে আমার শ^শুরের কাছে উক্ত বিষয়টি জানালে আমার শ^শুর আমাকে বলে যে ছালমা আজ আসবে কাল আসবে বলে ঘুরাতে থাকে।
বিষয়টি আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিনকে জানালে তিনি নোটিশ পাঠিয়ে তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে এনে মীমাংসার জন্য বসলে আমার শ^শুর ৭ দিনের সময় নেয়। এরই ফাঁকে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমার শ^শুর ঢাকা গিয়ে আমার নামে তালাকের নোটিশ পাঠায়। এ বিষয়ে জাকির হোসেন নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে পাওয়ার আশায় বিভিন্ন অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
এ বিষয়ে ছালমা বেগমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে ছালমা বেগমের বাবা ছালাম বাদশার কাছে জানতে চাইলে আমার মেয়ে জাকির হোসেন হাওলাদারকে তালাক দিয়ে ঢাকায় বসবাস করছে। গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসা হলেও মেয়ে পক্ষ সময় নিয়ে আর আসেনি। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।