রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার নাবালক সন্তানকে আটকে রাখার ঘটনার সমালোচনা করেছেন অধিকারকর্মীরা। এদিকে সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে নাগরিক সমাবেশে কথা বলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি বলেন, সরকারের বারোটা বাজানোর জন্য দু-চারজন পুলিশ অফিসারই যথেষ্ট।
পুলিশ কর্তকর্তাদের উদ্দেশে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুটপাতের জন্য নিজের পার্টি অফিস ভেঙে দিয়েছেন।
আর আপনারা তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) নাম ব্যবহার করে মানুষের জায়গা দখল করছেন।
তিনি আরও বলেন, আশ্চর্যের বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে দেখলাম মিডিয়াতে আপনি নাকি বলেছেন, পুলিশের জায়গা রিপ্লেসের পর কাজ হবে। অথচ তারা (পুলিশ) আপনার কথা না শুনে টানা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মানে একদিকে আপনি কথা বলছেন আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে। এখানে যে যার মতো করে কাজ করছে এবং থ্রেট দিচ্ছে।
ব্যারিস্টার সুমন প্রশ্ন করেন, পুলিশ কীভাবে নিজেদের বদনাম কামায়? সরকারের কীভাবে বারোটা বাজায়? একটা বাচ্চাকে ধরে নিয়ে গেল এখান থেকে। ১৩-১৪ বছরের বাচ্চাকে থানায় ভেতর ঢুকায় রাখলেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই। আপনারা কী জানেন না, ওয়ারেন্ট হলেও তো একটা শিশু বাচ্চাকে নিতে পারেন না।
সুমন আরও বলেন, মাঠ দখল করে এমন অবস্থা করছেন ফুটবলে আমরা সবচেয়ে তলানিতে চলে গেছি, ১৮৮-তে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাও এরা (পুলিশ) এখন শোনে না। আমি জানি না এরা কেন শোনে না। পাপের একটা সীমা আছে। সীমা লঙ্ঘন করা উচিত হবে না।
প্রসঙ্গত, সৈয়দা রত্না উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সংঙ্গীত বিভাগের কর্মী। তেতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসার পাশাপাশি এ আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করছিলেন তিনি। পান্থপথের উল্টো দিকের গলির পাশের খোলা জায়গাটিকে স্থানীয়রা চেনেন তেঁতুলতলা মাঠ নামে। জনাকীর্ণ নগরীর এই ছোট্ট মাঠে স্থানীয় শিশুরা খেলাধুলা করে। পাশাপাশি মাঠটিতে ঈদের নামাজ, জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান হয়।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েকটি শিশুর কান ধরে ওঠবস করায় পুলিশ। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাহিনীটির চার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।