মোবাইল ফোন ব্যাংকিং বিকাশ, নগদের মতো সেবায় এখন লেনদেন সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। এখন এসব সেবার গ্রাহকেরা দিনে এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা ও ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারবেন। আগে কার্ড থেকে টাকা জমার সীমা নির্দিষ্ট ছিল না, তবে দিনে ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা করা যেত না। বে এমএফএস হিসাবের স্থিতি কোনোভাবেই ৩ লাখ টাকার বেশি রাখা যাবে না।
পাশাপাশি অন্যান্য এমএফএস হিসাবে টাকা পাঠানোর সীমাও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিশোধ ব্যবস্থায় মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোভিড-১৯-এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমএফএসের আওতা ও লেনদেনের ব্যাপ্তি প্রসারের পাশাপাশি এ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সঙ্গে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এমএফএস ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে এমএফএসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং ডিজিটাল লেনদেন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এমএফএসের ব্যক্তি হিসাবের লেনদেনের সীমা পুনর্নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সেবার গ্রাহকেরা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে দৈনিক ৩০ হাজার টাকা ও মাসে ২ লাখ টাকা জমা করতে পারবেন। আর ব্যাংকের হিসাব বা কার্ড থেকে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও মাসে ৩ লাখ টাকা জমা করা যাবে। গ্রাহকেরা দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে এমএফএস হিসাবের স্থিতি কোনোভাবেই তিন লাখ টাকার বেশি রাখা যাবে না।
এমএফএসের গ্রাহকেরা একে অপরকে দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে প্রতি মাসে এমএফএসের একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে পারতেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই সীমার মধ্যে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সীমা নির্ধারণ করতে পারবে।