নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত চার বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সহ ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার চরক্লার্ক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে থাকা শিশু তাসফিয়া হত্যার প্রধান আসামি শুটার রিমন ও মহিনসহ ৫ জনকে নোয়াখালীর চর জব্বর থানার চর ক্লার্ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমন (২৩), তাঁর সহযোগী ও এজাহারের ৩ নম্বর আসামি মহিন (২৫), ৪ নম্বর আসামি মো. আকবর (২৫), ৫ নম্বর আসামি মো. সুজন (২৮) এবং ১০ নম্বর আসামি নাঈম ওরফে বড় নাঈম (২৩)।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে শিশু তাসপিয়া আক্তারকে চিপস-জুস কিনে দিতে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর মালেকার বাপের দোকান এলাকায় যান প্রবাসী আবু জাহের। তিনি তাঁর ভাগনে আবদুল্লা আল-মামুনের দোকানে কথা বলছিলেন। এমন সময় পূর্ববিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী রিমন কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সেখানে হামলা চালান। জাহের তাঁর মেয়েকে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে গুলি করেন রিমন।
এতে শিশু তাসপিয়ার মাথা ও মুখমণ্ডল গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায়। আর তার বাবা আবু জাহেরও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় তাসপিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বুধবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় মো. রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে। আগে এই মামলায় পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন এমাম হোসেন ওরফে স্বপন (৩০), জসিম উদ্দিন ওরফে বাবর (২৩) ও দাউদ নবী ওরফে রবিন (১৭)।