দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের উপর হামলার ঘটনায় মাষ্টারমাইন্ড হিসেবে কখনও আসাদুল আবার কখনও রবিউলের নাম আসায় আসল মাষ্টারমাইন্ড কে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে এই হামলার ঘটনায় আসল মাষ্টারমাইন্ডকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী দিনাজপুরের নাগরিক সমাজের।
ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবী করে যুব লীগের বহিস্কৃত নেতা আসাদুল এই ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড এবং সে নিজেই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
এই ঘটনার ৮ দিনের মাথায় শনিবার পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য দিনাজপুরে এক প্রেস ব্রিফিং-এ জানান ইউএনও অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মচারী রবিউল ইসলামই ইউএনও’র উপর হামলা চালিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উচ্চতর তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইউএনও হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একেক সময় দেয়া একেক তথ্য মেনে নিতে পারছেন না দিনাজপুরের নাগরিক সমাজ। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে মাষ্টারমাইন্ডকে খুঁজে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ঘটনার সাথে রবিউলের সম্পৃক্ততা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার ও স্থানীয়রা। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শনের কথাও জানান তারা।
ইউএনও ওয়াহিদাকে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবশেষ ইউএনও অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মচারী রবিউল প্রতিহিংশায় হত্যাচেষ্টা ঘটিয়েছে বলে দাবী করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।