যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের কথা চিন্তা করে চার বছর আগে শুরু হয় সেতু নির্মাণকাজ। সেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর।
নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে সহস্রাধিক মানুষ।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী খালের ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ করোনার দোহাই দিয়ে বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। এদিকে কাজ শেষ না হওয়ায় ব্রিজের পাশেই একটি সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী খালের ওপর পৌনে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির কাজের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের (এলবিসি) আওতায় কাউখালী খালের ওপর ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণকাজের দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি।
যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল চার কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৮ টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে কিউসি-পিএস-ডিসিএল নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু করেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও এখনো প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত মূল্যের তিন কোটি ৩০ লাখ ৮১ হাজার ১৫ টাকা বিল উত্তোলন করেছে। স্থানীয় কাউখালী চরের বাসিন্দা হালিমা বেগম বলেন, ‘এই হাক্কা (সাঁকো) দিয়া রাইত বিয়াল (রাতের বেলা) আইতে যাইতে কষ্ট। পোলাপান রাতে লেহাপড়া কইররা যাইতেও কষ্ট। এ্যাহন যদি মনে করেন এই ব্রিজটা হয় তাহলে মনে করেন আমাগো যাইতে আইতে সুবিধা। এই হাক্কা ভাইঙা পইড়া মানুষের ঠ্যাং (পা) ভাঙছে।’
একই এলাকার ফোরকান হাওলাদার (৬৫) নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘তিন-চার বছর হয়েছে ব্রিজটার কাজ হয়নি। এখন যদি দ্রুত কাজটা শেষ হয় আমাগো সাধারণ মানুষের লাইগ্গা খুবই উপকার হবে।’
এদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারী বাদল সারোয়ারের মুঠোফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়া মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘করোনার কারণে ব্রিজটার কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাদেরকে (ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান) আমরা চিঠি দিয়েছি এবং ফোন করেছি।
তারা বলছে যে রিসেন্টলি (সাম্প্রতিক সময়) কাজ আরম্ভ করবে।’ উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী খালের ওপর নির্মাণাধীন এই সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক।