বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসরের ১০ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি হয়েছে একটি ল্যান্ডন সিমন্সের অন্যটি তামিম ইকবালের।
তবে বিফলে গেছে সিলেটের সিমন্সের সেঞ্চুরি।
সিলেটের হয়ে খেলতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ওপেনার ল্যান্ডন সিমন্স ৬২ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি।
একই ম্যাচে ঢাকার হয়ে তামিম ইকবাল ৬১ বলে ১৫টি চার ও তিন ছক্কায় পৌঁছে যান শত রানের ম্যাজিক ফিগারে।
বিপিএলে এটার তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
এর আগে ২০১৯ সালে বিপিএলের ফাইনালে ঢাকার বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোয়ান্সের হয়ে ৬১ বলে ১০টি চার ও ১১টি ছক্কায় ১৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তামিম।
তবে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিময় ইনিংসের কাছে হার মানতে হয় ল্যান্ডন সিমন্সদের সিলটকে। ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করেও ৯ উইকেটে হেরে যায় সিলেট।
তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শেহজাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৮ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের বড় জয় পায় ঢাকা।
শুক্রবার টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে সিলেট। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সিমন্স। তার আগে ৬৫ বলে ১৫টি চার ও ৫টি ছক্কায় করেন ১১৬ রান।
সিমন্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে সিলেট।
১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়ে যান ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শেহজাদ। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। আর সেঞ্চুরি করতে খেলেন ৬১ বল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট:
২০ ওভারে ১৭৫/৫ রান (ল্যান্ডন সিমন্স ১১৬, এনামুল হক বিজয় ১৮)।
ঢাকা:
১৭ ওভারে ১৭৭/১ রান (তামিম ইকবাল ১১১*, মোহাম্মদ শেহজাদ ৫৩)।
ফল:
ঢাকা ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা তামিম ইকবাল।