নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দিঘলিয়া বাজারের চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ জহিরুল ইসলাম ওরফে রেজওয়ান উপজেলার কুমড়ি গ্রামের মৃত সাইফুল শেখের ছেলে। তিনি দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রেজওয়ানের সঙ্গে একই গ্রামের বদিয়ার খানের ছেলে সোহেল খানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেজওয়ান দিঘলিয়া বাজারের চৌরাস্তা এলাকায় মুকুলের চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে ঝড়ু ফকিরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে প্রতিপক্ষ সোহেল খানসহ দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
লোহাগড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.মো. খালিদ সাইফুল্লাহ বিল্লাল জানান, রোগীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের কোপে জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানের বাঁ পা ও বাঁ হাতের হাড় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাথাসহ শরীরে অসংখ্য কোপ রয়েছে।
রেজওয়ানকে রাত ৯টায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিভাস শর্মা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহত রেজোয়ানের ভাই রানা শেখ বলেন, ‘সোহেল খানসহ সাত-আটজন দুর্বৃত্ত আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিঘলিয়া গ্রামের ঝড়ু ফকিরের ছেলে শিমুল ফকিরকে (২২) আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।