র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প ১২/১০/২০২১ইং তারিখ আনুমানিক ১৯:৩০ ঘটিকায় একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে আনুমানিক ১৮:০০ ঘটিকায় নিয়মিত টহল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন জননী এক্সপ্রেস এন্ড পার্সেল সার্ভিসে ছোট চৌরাস্তা সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার উপর কতিপয় ব্যক্তি মাদক দ্রব্য ক্রয়/বিক্রয় করিতেছে।
প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম, (এস), পিসিজিএমএস, বিএন এর নের্তৃত্বে আনুমানিক আনুমানিক ১৯:৩০ ঘটিকায় উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ০২ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের নাম হলো ১। নূর মোহাম্মদ(২০), পিতা-শাহ আলম, সাং-হেউলুবুনিয়া, ০৬নং ওয়ার্ড, থান-সদর, জেলা-বরগুনা, ২। নয়ন চন্দ্র শীল(২৪), পিতা-তপন চন্দ্র শীল, সাং-কোকসুলিজ, সাং-০৬নং ওয়ার্ড, থানা-সদর, জেলা-বরগুনা।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে পেশায় সে একজন ছাত্র এবং অন্য একজন মোটরসাইলেক চালক হলেও গাঁজাই তার প্রকৃত ব্যবসা। উক্ত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ৬.২৯০ (ছয় কেজি দুইশত নব্বই) গ্রাম কথিত গাঁজা, ২০ (বিশ) কেজি চা, ০২ টি মোবাইল ফোন এবং ০৩ টি সীম উদ্ধার করা হয়। কথিত গাঁজা যাহার বাজার মূল্য অনুমান ২,৫১,৬০০/- (দুইলক্ষ একান্ন হাজার ছয়শত) টাকা। ধৃত আসামীদ্বয় পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত কথিত গাঁজা ক্রয়/বিক্রয় করিয়া আসিতেছে।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে পটুয়াখালী জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার সদর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
video(24) পটুয়াখালীর সদর হতে র্যাবের হাতে দুইজন গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতার।