পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামে এক গৃহবধূকে কোমড়ে শিকল বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ীতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। কোমড়ে শিকল বেঁধে, তালা দিয়ে আটকিয়ে। ঘরের মেঝেতে ফেলে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর এ নির্যাতন চালানো হয়।
অনবরত শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি আঘাত করা হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ, তার বাবা-মা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে, শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক পেতেই স্বামীর এমন নির্যাতন, দাবি নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম রেনিস সুলতানা, বয়স ১৯ বছর ।
কাউখালী গ্রামের রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে সে। জানা গেছে, আড়াই বছর আগে একই গ্রামের মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লার (২২) সাথে রেনিসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় অপ্রাপ্ত বয়সেই রেনিসের বিয়ে হয়। দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের ঘরে।
গৃহবধূ রেনিস সুলতানা বলেন, ‘বিয়ের পর তাদের সুখে-শান্তিতেই দিন কাটছিল। যা চেয়েছেন, তাই পেয়েছেন স্বামীর কাছ থেকে। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে শ্বাশুরির আশকারায় তার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে স্বামীর কলহ শুরু হয়। আজকে (রোববার) শ্বাশুরি শেকল বের করে দিছে, স্বামী বানছে।
পিটাইছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ঢাকা যাওয়ার সময় জুতা দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গেছে। আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেয় না। ফোন নিয়ে গেছে। যৌতুকের টাকা চায়, বলে তাকে (স্বামী) কিছু দেয় না। একবার তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিছে। বলছে কিছু নিয়ে আসবি।
রেনিসের বাবা রফিকুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘এই যৌতুকের জন্য মেয়েকে জালা-যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছে। আমি বিচার চাই।’ জানা গেছে, নির্যাতনের খবর পেয়ে ওইদিন রফিক হাওলাদার শ্বশুর বাড়ি থেকে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী রাকিব মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার কোন মন্তব্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ‘এ ধরণের কোন খবর পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’