শেষমেষ প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির এমডি এবং চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মোহাম্মদপুরে এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এমন অবস্থায়- অনিশ্চয়তায় পড়েছেন লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা গ্রাহকরা। সুরাহা চেয়েছেন সরকারের কাছে।
বাংলাদেশের ই-কমার্সের অন্য নাম হয়ে হয়ে উঠেছিল ইভ্যালি। কম দামে পন্য ডেলিভারির মাধ্যমে অল্প দিনেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন অফারের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ পায় ইভ্যালি।
কিন্তু সময়মত পন্য না দেয়া, সম্পদ-দেনার ব্যাপক ফারাকে সমালোচনায় পড়ে ইভ্যালি। এমন অবস্থায়-প্রতারণার অভিযোগে গত বুধবার রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ইভ্যালির এমডি চেয়ারম্যানের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব।
তথ্য বলছে-আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। এই দেনার বিপরীতে তাদের দৃশ্যমান সম্পদ মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় নিজেদের বিনিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেশের প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহক।
আরো পড়ুন
প্রতিষ্ঠানটির সিইও এবং চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হওয়ার সময় গ্রাহকরা নিজেদের দুরাবস্থার কথা জানিয়ে সরকারের কাছে সমাধান চেয়েছেন।
২১ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন