দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে থেমে নেই কলেজপড়ুয়ারাও। জরুরি রোগীর জন্য খুঁজে আনছেন রক্ত।
করোনায় আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে নিয়েও ছুটছেন অসহায়, এতিম ও নিরুপায় মানুষের কাছে। এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে গড়ে তুলেছে সামাজিক সংগঠন হযরতপুর ব্লাড সোসাইটি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কুয়েত প্রবাসী হাছান মাহমুদ এই বিষয়ে বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের এর মধ্যে। সেই সময়ে ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ ছিল না। টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রিকায় প্রতিদিন করোনায় ঘটেযাওয়া নানা হূদয়বিদারক ঘটনা দেখে হাঁপিয়ে উঠেছি । তখন মাথায় আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে মানুষকে উপকার করবার চিন্তা। ’
‘সেই থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগীকে জরুরি রক্তের প্রয়োজনে রক্তদাতা সংগ্রহ করতে শুরু করি। মাঝেমধ্যে নিজেরাও রক্ত দিতে যেতাম। এভাবেই হযরতপুর ব্লাড সোসাইটি সংগঠনের পরিচিতি বাড়তে থাকে।
পথচলার এই অল্প সময়ের কার্যক্রম গুলো সফলভাবে সম্পন্ন হতে থাকে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:গরিবদের চিকিৎসার আর্থিক সহযোগিতা, রান্না করা খাবার বিতরণ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ইফতারের আয়োজন, কুরআন-হাদিস বিতরণ, এতিমদের মাঝে পোশাক বিতরণ, জরুরি রক্তদান।
এছাড়াও সম্প্রতি হযরতপুর ব্লাড সোসাইটির সেচ্ছাসেবীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার ঘটনা নজরে এসেছে অনেকেরই । সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে একটি প্রাণ বাঁচাতে সকাল-সন্ধ্যা অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে নিয়ে ছুটে যাচ্ছে করোনা রোগীর দ্বারে দ্বারে।’আমাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি ।