সারা দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা যখন প্রায় আত্মগোপনে, তখন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র বিরাজ করছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ২ নং বদরপুর ইউনিয়নে।
৫ আগস্টের পর থেকে জেলা বা উপজেলার অন্য কোথাও সাবেক ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও, বদরপুরে তাদের অবাধ বিচরণ এবং এমনকি প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতি তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে জন্ম দিয়েছে এক বড় প্রশ্ন—কেন এই ইউনিয়নটি ব্যতিক্রম? অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ইউনিয়নটি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার নিজ এলাকা।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, এখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে सत्तासीन দলের নেতাদের এক ধরনের অলিখিত সমঝোতা রয়েছে। তাদের মতে, এই গোপন বোঝাপড়াই বদরপুরকে আওয়ামী লীগের জন্য একটি ‘নিরাপদ অভয়ারণ্যে’ পরিণত করেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “বদরপুরে ঠিক কী ঘটছে, তা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
দলের কোনো নেতা বা কর্মী যদি শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো সমঝোতায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলবিরোধী কার্যকলাপে আমাদের অবস্থান শূন্য সহনশীলতার।” অন্যদিকে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে, দেশব্যাপী রাজনৈতিক পালাবদলের এই সময়ে বদরপুর ইউনিয়নের ব্যতিক্রমী চিত্রটি স্থানীয় রাজনীতিতে গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—এই ‘সমঝোতা’ ও ‘ক্ষমতার প্রদর্শন’ কি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক টিকে থাকার নতুন কোনো কৌশল?
রামিম রাফি, মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড। যোগাযোগ এডিটর, +8802478835086, ফোনঃ বার্তা প্রধান +8801713932564, সিইও আমির হোসেন। +8801746371260, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লোকমান মৃধা। 01717966305, Emil: sadhinbanglatv52@gmail.com






