পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের আমখোলা বাজারে।
শনিবার (২ নভেম্বর) ভূক্তভোগী জমির মালিক মোসা. হোসনেয়ারা বেগম (৪১) জানান, দীর্ঘ ২০ বছর আগে মাথা গোজার একটু ঠাই পেতে মো. ফজলুল করিমের কাছ থেকে আমি সাব কবলা দলিল মূলে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যার দলিল নং- ২৫১।
পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে একটি জায়গা চুক্তিনামা সম্পাদন করিয়া ভোগ দখলে আছি। কিন্তু এলাকার কিছু কুচক্রী প্রভাবশালী মহল আমার ঘর ও দোকান থেকে আমাকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা নামে বেনামে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে আসছে।
আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এর কোন সুরহা পাই নাই। এ সময় তিনি আরও বলেন, তারা ভারা করা সন্ত্রাসী লোকজন দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। প্রভাবশালীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে হোসনেয়ারা বেগমের স্বামী আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, আমার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে এই সংসার করে আসছি।
বিবাহের পর থেকে ২০ বছর আগে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় চুক্তিনামা সম্পাদন করিয়া ভোগ দখল করিতেছি। আমাদের থাকার মত ঐ জায়গাটুকুই আছে। সেখানে কিছু লোক আমার দোকান ও ঘর জোর করে নেওয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে।
আমাদের দলিল ও দখল থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের জমি কীভাবে দখল করতে আসে। আমার জায়গাটি তারা দখল করে নিলে আমাকে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। তাই আমি প্রশাসন সহ দেশবাসীর কাছে বিচার চাই। এ বিষয়ে স্থানীয় মো. ফজলুল করিম, সেলিম মৃধার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা হোসনেয়ারার কাছে ঐ জমি হস্তান্তর করেছি। সে ঘর তুলে ভোগ দখলে আছে।
তাকে উচ্ছেদ করা হলে সে পথে বসে যাবে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সোনামদ্দিন, নজরুল ও আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।