টুয়াখালীর গলাচিপায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর (এলজিইডি) “সারাদেশ পুকুর ও খাল উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় মসজিদের নামে ১১ লাখ ১৬ হাজার ২শ’ ৮৬ টাকা বরাদ্দ নিয়ে ব্যক্তিগত জমিতে পুকুর খনন ও পুকুরের ঘাট নির্মাণের সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনেক পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের পরে ‘মসজিদের বরাদ্দের টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত জমির পুকুর-ঘাট নির্মাণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালীর এলজিডির সহকারী প্রকৌশলী মো. মীর আলী শাকিবকে আহ্বায়ক ও গলাচিপা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে ,গলাচিপা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) অধিদপ্তরের আওতায় আইপিসিপি প্রকল্পের পটুয়াখালী জেলায় গলাচিপা উপজেলার চরকাজলের একটি মসজিদে ১১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৮ টাকা বরাদ্দ দেয়। চরকাজল ইউনিয়নের হাজী আ: হালিম মৃধা বাড়ী জামে মসজিদ এর নামে বরাদ্দ নিয়ে উক্ত বরাদ্দ ব্যক্তিগত পুকুর খনন, পাকা ঘাটলা নির্মাণ ও কবর স্থানে মাটি ভরাট করায় ছোট চরকারজল পুরাতন জামে মসজিদের সভাপতি ড: আলাউদ্দিন খান বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদন করে। এই প্রতিবেদন কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়। এতে পটুয়াখালীর এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হোসেন আলী মীর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কাজের মান ও সঠিক ভাবে হয়েছে কিনা তা তদন্ত পূর্বক ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অফিস আদেশ দেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. মীর আলী শাকিব জানান, মসজিদের বরাদ্দ ও কাজের সঠিকতা নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।