কেউ কারো বাড়িতে হামলা করবে, জানমালের ক্ষতি করবে, এজন্য বিএনপি রাজনীতি করে না। বিএনপি রাজনীতি করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। এমনটাই দাবী করলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী পৌর শহরের স্বাধীনতা সড়কে পটুয়াখালী যুবদল কর্তৃক নির্যাতিত ফিরোজ আশরাফ এর বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশে তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ নিতে তাদের বাড়ি যান। এসময় কেন্দ্রীয় নেতাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন ফিরোজ আশরাফের মা শেফালী বেগম। তিনি বলেন, ‘এই সাইদুল আমার ছেলেরে ধইরা নিয়া ওই পাশের উঠানে ধইরা নিয়ে মাথা পারাইয়া ধরছে। আমি এই হামলার বিচার চাই।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রিমানুল ইসলাম রিমু, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন শিকদার আকরাম, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মৃধা প্রাথমিক সদস্যপদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফিরোজ আশরাফ আলম বলেন, আমি বিভিন্ন কোম্পানীর ডিস্টিউবিউটার। গত ৫ই আগস্ট রোষানলে সাইফুল ইসলাম মৃধা ও রিমানুল ইসলাম রিমু এবং আকরাম সিকদার ও তাদের গুন্ডা বাহিনী আমার বাসা ও গোডাউনে এসে ভাঙচুর চালায় এবং আমার গোডাউনে থাকা প্রায় ৪০ লাখ টাকার বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল লুট করে। এই ঘটনায় আমি পটুয়াখালী আদালতে ২টি মামলা দায়ের করেছি। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে তাতে আমি ও আমার পরিবার খুশি।
এ ব্যাপারে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘এই বিষয়টা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবগত হয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন যাতে আমি পটুয়াখালীতে এসে এই ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ খবর নেই। যারা হামলা অথবা ভাঙচুর করেছে তাদের বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে আমি এখানকার পুলিশ প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছি। আমাদের বার্তা পরিস্কার, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করার কোন সুযোগ নেই।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে দেখা করে বের হওয়ার পথে নুরুল ইসলাম নয়নের গাড়ি আটকে দেয় সদ্য বহিষ্কৃত নেতাদের স্বজনরা। এ সময় তারা রাস্তা আটকে রেখে হট্টগোল শুরু করলে জেলা যুবদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদককে পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়ে যান। সেখানে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নুরুল ইসলাম নয়ন।