ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শটগান ও তিনটি মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি। গতকাল বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসারের হাবিলদার আবদুল লতিফের কাছে মোটরসাইকেল ও অস্ত্রটি জমা দেওয়া হয়।
আনসার ভিডিপির ফরিদপুর জেলা কমান্ড্যান্ট নাদীরা ইয়াসমিন আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফেরত দেওয়া শটগানের গায়ে ‘কে আর জি/ ৪২৫২২৪২’ নম্বর লেখা রয়েছে। ফেরত দেওয়া তিনটি মোটরসাইকেল দুটির নম্বরপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। অপর মোটরসাইকেলের নম্বর রাজবাড়ী-ল-১১-৬০৮৫।
নাদীরা ইয়াসমিন আরও জানান, হাবিলদার আবদুল লতিফের নেতৃত্বে আটজন আনসার সদস্য বর্তমানে সদরপুর থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। গত বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি লুট করে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে এবং দুটি মোটরসাইকেল নছিমনে করে এনে পৌঁছে দেন। যিনি অস্ত্রটি জমা দিয়েছেন, তিনি জানান, অপরিচিত এক ব্যক্তির ফোন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ অস্ত্রটি আটরশি দরবার শরিফের পাশে নির্মাণাধীন একটি দোকানঘরে একটি বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
নাদীরা ইয়াসমিন জানান, মোটরসাইকেল তিনটি সদরপুর থানায় আনসার সদস্যদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। শটগানটি ফরিদপুরের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল নাহিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গগত, ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে মিছিল থেকে একদল বিক্ষোভকারী সদরপুর থানায় হামলা করে। তারা থানার সামনে থাকা ইউএনও, ওসির গাড়ি ও একটি পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় কিছু পুরোনো মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল লুট করা হয়। এ ছাড়া থানার অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র–গুলি লুট করা হয়।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের থানার কতগুলো অস্ত্র বা কতগুলো মোটরসাইকেল ছিল, তা হিসাব না করে এই মূহূর্তে বলা সম্ভব না।