নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জাতীয় ও সরকারি ডিএফপি মিডিয়া তালিকা ভুক্ত দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার লালপুর উপজেলা প্রতিনিধি,
মেহেরুল ইসলাম কে প্রকাশ্যে দিবালোকে, উপস্থিত জন সাধারনের সামনে অকথ্য ভাষায়, বেপরোয়া গালাগালি ও বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি এবং প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি সহ সাংবাদিকের মান-সন্মান নিয়ে টানা হেঁচড়া এবং সন্মান হানির ঘটনায় নাটোরের বিজ্ঞ আমলী আদালতে দঃবিঃ৫০০/৫০৫/৫০৫(ক)/৫০৬(।।)৪৯৯/৫০৮/৫০১/৫০৪/৫০২/৫০৩/৫০৬ ধরায় মামলা দায়ের হয়।
মামলা নং সিআর ৬৩/২৩(লাল)।পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ও পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারী করে ০৮/০৮/২৩ ইং তারিখ দিন ধার্য করেছিলেন।এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার(৮ই আগষ্ট-২৩)ধার্য তারিখে উক্ত আমলী আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন মামলাটি নাটোরের চীফ জুডিশিয়াল আদালতে বদলি করেন।বিষয়টি বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলেক শেখ নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, মামলাটির বাদী মেহেরুল ইসলাম একজন পল্লী চিকিৎসক ও সাংবাদিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ই ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল(কালুপাড়া) এলাকার একটি মাটির রাস্তায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে মর্মে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেলে সেখানে তিন সাংবাদিক উপস্থিত হওয়া মাত্রই মেহেরুল ইসলাম এর উপর চরাও হয়ে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন এ ঘটনা ঘটায়।
পরে বিষয়টি নিয়ে লালপুর থানাতে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিলে থানার ওসি কৌশলে ডেকে লিখিত অভিযোগটি হাতে ধরিয়ে দিয়ে ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিতে বলে। ইএনও অফিসে অভিযোগ লিখে নিয়ে গেলে সেদিন ছুটি থাকায় ইএন অফিস বন্ধ অভিযোগ পত্রটি সৈই দিন দেওয়া হয়নি। পরের দিন ১২ই ফেব্রুয়ারীতে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলেও ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে বাদীর সাংবাদিকতা ও পল্লী চিকিৎসার ক্ষেত্রে মান-সন্মানের হানি ঘটে। যা ১০ কোটি টাকা টাকার বিনিময়েও এ সন্মান ফিরে আনা সম্ভব হবে না।
এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম সকল পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোর ডকুমেন্টস আদালতে
দাখিল করে মানহানির মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়।