সাকিব গাজী ফটিকের খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা শাহীন গাজীর ছেলে। শনিবার (১০ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্সে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম। পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরপরই আসামিদের ধরার জন্য, জেলা পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। অপরাধীকে ধরতে প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান চালায় পুলিশ।
সাকিব ঘটনার পরে পালিয়ে পটুয়াখালী থেকে বরিশাল, সেখান থেকে বরগুনা। পরে সেখানে থেকে আবার ঢাকার কাকরাইল মসজিদে আশ্রয় নেয়, সেখানে জায়গা না পেয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় খালার বাড়িতে অপরাধ গোপন করে আশ্রয় নেন।
পরে পটুয়াখালী সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলামসহ উজিরপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত রাতে বরিশালের উজিরপুরের সাকিবের খালা বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, গত ২ জুন সন্ধ্যায় পটুয়াখালী পৌর শহরের ফটিকের খেয়াঘাট এলাকার সিকদার রেস্ট হাউজের দ্বিতীয় তলায় ফ্রি রুম খুলে দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটিতে ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ফকিরের গায়ে পেট্রল নিক্ষেপ করেন আগুন ধরিয়ে দেন সাকিব। পরে ৮ জুন বৃহস্পতিবার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আহমাদ মাঈনুল হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ, সহ সভাপতি উপাধ্যক্ষ জসীম উদ্দিনসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।