পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খাওয়ানোর নাম করে জোরপূর্বক চাষকৃত মাছ ধরার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে হাওলাদার বাড়ির পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (১৭মে) সকাল ৯ টার দিকে হানিফ মাস্টারের চাষকৃত মাছ একই বাড়ির আবুল হাওলাদার দলবল নিয়ে জাল দিয়ে জোরপূর্বক ধরা শুরু করে। এসময় হানিফ মাস্টার বাঁধা দিলে তার কথা অমান্য করেই আবুল ও তার সঙ্গীরা মাছ ধরতে থাকে। পরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মাছ ধরা বন্ধ করে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত ওয়াকফ এস্টেট ই সি নং – ৮৬০০ হাজী আলীমুদ্দিন হাওলাদার এস্টেট এর মোতওয়াল্লী নিয়ে। মাস ছয়েক আগে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় হতে এস্টেটের পূর্বের মোতওয়াল্লী হাজী আব্দুল হক কতৃক মোতওয়াল্লী পদ হতে ইস্তফা পত্র গ্রহণ ও ১ নভেম্বর ২০২২ তারিখ হতে আগমী তিন বছরের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ১২ সদস্যের কমিটির অনুমোদনসহ মো: আবুল হোসেন হাওলাদার কে কমিটির সদস্য সচিব ও মোতওয়াল্লী করা হয়।
এ নিয়ে হানিফ মাস্টারের পরিবার ও আবুল হোসেনের পরিবারের মধ্যে জমির দখল নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এবিষয়ে হানিফ মাস্টার বলেন, সম্পত্তির মোতওয়াল্লী তার বাবা আব্দুল হক দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবৎ ছিলেন। কিন্তু এসময় মিথ্যা বলে প্রতারণা করে তার বাবার স্বাক্ষর নিয়ে মোতওয়াল্লী পরিবর্তন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। বিরোধ সমাধানে বহুবার স্থানীয় সালিশ বৈঠক বসলেও তা তারা মানছেন না। আজকে আমার চাষ করা পুকুরের মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
ওয়াকফ এস্টেটের বর্তমান মোতওয়াল্লী আবুল হোসেন বলেন, এস্টেটের মোতওয়াল্লী হয়েছি আজ ৮ মাস। তারা আমাকে জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেনা তাই আমি জমি দখলে নিতে চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও পত্র দিলেও তারা তা মানছে না। বাড়িতে একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আছে তাই পুকুর থেকে মাছ ধরা হচ্ছে। তবে এখানে কোন জোরজবরদস্তি করছি না আইন মাফিক কাজ চলছে।
এ বিষয়ে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিব বিশ্বাস জানান, মাছ ধরার ঘটনায় আবুল হাওলাদারকে নিষেধ করেছি তবে তিনি কথা শুনছেনা।
থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।