সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি জাল দলিল করে বিক্রির মামলায় এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এবং তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত সহ ৮ মামলার আসামি গ্রেপ্তার রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাজহাট মেট্রোপলিটন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম শিপলুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শনিবার দুপুরে দেড়টায় রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহসানুল হক রানার আদালতে তাকে তোলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে থাকা চারটি ওয়ারেন্টভূক্ত মামলার তিনটি আদালত জামিন মঞ্জুর করেন এবং চাঁদাবাজি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জাকারিয়া আলম শিপলুর আইনজীবী মাহমুদুল হক সেলিম জানান, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকা তিনটি মামলায় আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আর একটি মামলায় শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকার কারণে সেটির শুনানি করা সম্ভব হয়নি। সেই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের গাড়িতে না নিয়ে তাকে নিজ গাড়িতে করে কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়। শনিবার ( ৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজুর রহমানের নিজস্ব ব্যবহৃত সরকারি গাড়ির ডাবল ডেকার সিটে বসিয়ে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে নেওয়ার পর তাকে মেট্রোপলিটন হাজত খানায় রাখা হয়। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।
শিপলু ও তার বাহিনীকে নিয়ে গত শনিবার ‘ক্রাইম সিনে’ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে যমুনা টেলিভিশন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, বাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়া, ভাঙচুর, মারপিট, চাঁদাবাজির অভিযোগে জিআর ২৪৪/২২ ও ১৮১/২২ টি এবং বিদ্যুৎ কোর্টের সিআর ৪০৫৪/২২সহ চারটি মামলার ওয়ারেন্ট ছিল।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টায় নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও তিনি একটি মামলার এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ওয়ারেন্টগুলো আগেই আদালত জারি করলেও প্রক্রিয়াগতভাবে ওয়ারেন্টগুলো আমাদের কাছে না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আদালত থেকে প্রাপ্ত হওয়ার পর পরই তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আটটি পুলিশ ভ্যানে করে জাকারিয়া আলম শিপলুর বিনোদপুরস্থ বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এক পর্যায়ে সেখানে আনা হয় সাজোয়া যান।