চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভোলাহাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঘুষ ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন ভোলাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোসাঃ শাহানাজ খাতুন।লিখিত অভিযোগে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ খাতুন বলেন, গত বছরের ০২ মার্চ যোগদানের পর থেকেই ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের ঘুষ ও দুর্নীতির কারণে ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। কেউ প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে কথাও বলতে পারে না।
এমন কি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানও তার ঘুষের হাত থেকে রেহায় পায়নি বলে অভিযোগে বলেন। অভিযোগে আরও বলেন, গত ০৮.০২.২০২৩খ্রি. তারিখে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন “উপজেলার রাজমিস্ত্রি/নির্মাণ শ্রমিকদের নির্মাণ কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ” উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে অগ্রীম বিলের চেয়ে চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ মহোদয়ের নিকট আবেদন করি।আবেদনখানা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন। আবেদন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে তার কক্ষে দেখা করার জন্য বলেন।
তার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আমার কাছে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা ঘুষ দাবী করেন। বলেন আপনিতো অনেক লাভ করবেন আমি আপনার লাভ দেখবো না আমাকে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা দিলেই হবে। তিনি আরও বলেন আমিতো ভাইস চেয়ারম্যানের ট্রেনিং গুলা করছি দেখছি সেখানে অনেক লাভ। আপনি পার্টিসিপেন্ট ডাকেন আর না ডাকেন আমি কিছুই দেখবো না শুধুমাত্র আমাকে দশটা ক্লাস এবং ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা দিলেই হবে।
আমি তার এই বক্তব্য শুনে সাথে সাথে প্রতিবাদ করি এবং তার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি। যার ফলশ্রুতিতে তিনি আমার ফাইলটা আজ পর্যন্ত আটকে রেখেছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে অত্র উপজেলা পরিষদের জন্য বরাদ্দকৃত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) এর অর্থে নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ না করে তার অফিস কক্ষে গোপন সভার মাধ্যমে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে নোটিশ না দিয়ে তার ইচ্ছামত প্রকল্প দাখিল ও গ্রহণ করেন বলেও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।তিনি একই ঠিকাদার দ্বারা বার বার গোপনে কোটেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের টাকা কাজ না করেই উত্তোলন করেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী আরও বলেন তিনি ২০২০-২০২৪ চক্রের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) এর উপকারভোগী নির্বাচনে তার বাধ্য অনুগত অফিসারদের ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। এছাড়াও তিনি সরকারি এবং উপজেলা পরিষদের কর্মচারী দিয়ে তার ব্যক্তিগত বাজার করা, বাচ্চা লালন-পালন সহ বিভিন্ন কাজ করারও অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কখনো উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নিকট ঘুষ চাইনি। বাকি অভিযোগ গুলোও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অভিযোগের কপি ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ এ চেয়ে এর বেশী মন্তব্য না করে লাইন কেটে দেন ইউএনও উম্মে তাবাসসুম।এবিষয়ে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথা সময় ব্যবস্থা নেয়া হবে।