পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় রনগোপালদী ইউনিয়নে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। যুবকের নাম যুধিষ্ঠি মিস্ত্রী (২৪) তিনি পেশায় একজন টমটম চালক। যুধিষ্ঠি মিস্ত্রী রনগোপালদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গ্রামের চিত্ত রঞ্জন মিস্ত্রীর ছেলে।
সোমবার দিবাগত রাতে তার নিজ বাড়ির পাশের একটি বাগানের কনায় রেন্ট্রি গাছের সাথে রশিঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
যুধিষ্ঠির স্ত্রী লক্ষীরাণী বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে বাড়িতে আসে টমটমের কাজ করার কথা বলে বাসা থেকে আবার বের হয়ে যায় টমটমের কাছে। খুঁটিনাটি কাজ করে ঘন্টা খানেকপর বাসায় এসে হঠাৎ ঘরে থাকা সাবোল দিয়ে ঘর দরজা জানালা চৌকি এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। স্ত্রী লক্ষীরাণী কিছু বলতে গেলে তাকেও মারধর করে।পরে দুপুরের খাবার না খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
রাতে বাসায় না ফিরলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পরে। সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে যুধিষ্ঠির মা বাথরুমের উদ্যোশে গেলে পাশের বাগানের দিকে চোখ পড়লে কাছে গিয়ে দেখতে পায় যুধিষ্ঠি রশিঁ দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মাটিতে পরে আছে। তার মায়ের ডাক চিৎকারে এলাকার প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে এসে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে দশমিনা থানার পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন ।(এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসাবে গলায় ফাঁস দেয়া রশিঁ পরনে জিঞ্চপ্যান্ট প্যান্টের সাথে থাকা মাজার বেল্ট তিনটি জুতা উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করেন। মৃত্যুর সঠিক তথ্য নির্ণয় করার জন্য পটুয়াখালী শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।