পাঠানের আগেই আলোচনায় এসেছিল ‘বেশরম রং’। এরই মধ্যে বক্স অফিসে হিট পাঠান। ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে ফেলেছে ‘পাঠান’। তবে ছবি মুক্তির আগেই ‘বেশরম রং’ গান দিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি করে ছবিটি।
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা যায়নি দীপিকা পাড়ুকোনকে। অবশেষে তিনি নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন।
‘বেশরম রং’ গানে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। তার পোশাক নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। শুরু হয় ট্রোলও। কিন্তু তাতে একেবারেই দমে যাননি এই অভিনেত্রী।
এর আগে ‘বেশরম রং’ গানে দীপিকার পোশাক থেকে পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কোরিওগ্রাফার থেকে পরিচালক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে দীপিকা জানান, এই গানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে তিনি সৌভাগ্যবতী।
দীপিকা বলেন, ‘এমন একটা গানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, যেকোনও পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসটা অত্যন্ত জরুরি। আর নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে পারফর্ম করার সুযোগ যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন সেভাবেই পারফর্ম করতে হয়। তোমাকে দেখতেও সুন্দর লাগতে হবে। তার সঙ্গে নিজের সেরাটাও দিতে হবে। তাই আমি সবসময়ই ওর সঙ্গে (কোরওগ্রাফার বৈভবী মার্চেন্ট) কাজ করতে চাই। গানটিতে পারফর্ম করার আগে আমি কোনওরকম স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম না। কারণ কেমন হতে চলেছে বা কীভাবে শ্যুটিং হতে চলেছে, তা আমার জানা ছিল। আমি শুধু ওর নির্দেশ মতো করে গিয়েছি। ’
দীপিকা আরও বলেন, ‘খুব ভুল যদি না বলি, তাহলে আমরা গানটা পাঁচদিন শ্যুটিং করেছিলাম। আর সেটা খুব একটা সহজ কাজও ছিল না। আবহাওয়া সঠিক ছিল না। কিন্তু বৈভবী আমাদের মেজাজই এমন তৈরি করে দিয়েছিল যে, খুব সহজেই গানটার শ্যুটিং হয়ে গিয়েছিল। গানে স্প্যানিশ কিছু শব্দের ব্যবহার হয়েছিল। যেগুলোর মানে আমার জানা ছিল না। কিন্তু যেভাবে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আমি সেভাবেই পারফর্ম করে গিয়েছি। ’
এদিকে ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে কম বিতর্ক দেখা দেয়নি। গানটি মুক্তি পাওয়ার পরই গানে ব্যবহৃত পোশাক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সমালোচনায় সরব হন কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। পাশাপাশি তা বদলানোর জন্যও দাবি উঠতে থাকে। সেন্সর বোর্ডও কাঁচি চালায় ছবির বেশ কিছু দৃশ্য থেকে ডায়লগে। সব মিলিয়ে বিতর্ক তৈরি করেও এর ব্যবসাকে আটকানো যায়নি। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে শাহরুখ খানের এই ছবি।