পটুয়াখালীর গলাচিপায় ফিড বয়লার কারখানার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব বাঁশবুনিয়া গ্রামে অবস্থিত মেসার্স ইস্টার্ণ ইউরো ফিড মিলস কারখানায় এ বিস্ফোরণ ঘটলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিক মো. সুজন মৃধা (১৯) বাঁশবুনিয়া গ্রামের আশ্রাব মৃধার ছেলে এবং মেসার্স ইস্টার্ণ ইউরো ফিড মিলস কারখানার শ্রমিক।
জানা যায়, মেসার্স ইস্টার্ণ ইউরো ফিড মিলস্ এর শ্রমিক বয়লারের সিলিন্ডারের বাতাস প্রবাহের জন্য বিকাল ৫টার দিকে বয়লার সিলিন্ডার চালু করে। বয়লার সিলিন্ডার চালু করার সাথে সাথে মেশিনটিতে বিকট শব্দ হয়। এক পর্যায়ে বয়লার মেশিনটির সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে কারখানার দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে এবং বয়লার কারখানার সিলিন্ডারটি ছিটকে গিয়ে বিদ্যুতের তারের সাথে সজোরে আঘাত লেগে পাশের বিলে গিয়ে পড়ে। এ সময় কর্মরত শ্রমিক সুজন মৃধার শরীরে আগুণ লেগে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তার ডাক চিৎকার ও বিকট শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সুজন মৃধার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছিদ্দিক মৃধা, সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, আমরা বিকট শব্দ শুনে রাস্তায় এসে ফিড বয়লার কারখানার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানতে পারি। এ সময় আমরা লোকজন নিয়ে আহত সুজন মৃধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
এ বিষয়ে আহত সুজন মৃধার বাবা আশ্রাব মৃধা বলেন, আমার ছেলে এই কারখানায় কাজ করে। আগে আমরা কখনো এ ধরণের দুর্ঘটনা দেখি নাই। আমার ছেলেটা পুড়ে গিয়েছে। তার শরীরের দিকে তাকানো যায় না। আমি গরিব মানুষ এখন ওর চিকিৎসা কীভাবে করব জানি না। কারখানা মালিক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমার ছেলের এ অবস্থা হত না।
এ ব্যাপারে মেসার্স ইস্টার্ণ ইউরো ফিড মিলস কারখানার মালিক বশির হাওলাদার বিদেশে থাকায় কারখানার পরিচালনাকারী তারই ছোট ভাই আব্দুল কাইয়ুম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারখানায় ছিলাম না। কি হয়েছে তা আমি জানি না। পরে খবর শুনে হাসপাতালে এসে সুজনের খোঁজ খবর নিয়েছি এবং তার চিকিৎসার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে আমখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মনির বলেন, ঘটনা শুনেছি, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, মেসার্স ইস্টার্ণ ইউরো ফিড মিলস কারখানার বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা পর্যালোচনা করা হবে।
বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, যেকোন কারখান করতে হলে অবশ্যই প্রথমে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।