বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চাকরির মেয়াদ দেড় বছর বৃদ্ধি করলো সরকার। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই কথা জানানো হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী বিসিএস(পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তা পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অবসর উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে ১২ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ১১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত অথবা যোগদানের তারখি থেকে ১ বছর ৬ মাস মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের শর্তাবলি অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম আইজিপি। তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো আগামী ১১ জানুয়ারি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। গত বছরের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।
কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) এবং ঢাকা সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন। অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।