দোনেস্কে অস্থায়ী একটি রুশ সেনাঘাটিতে ইউক্রেনের হামলায় ৬৩ রাশিয়ান সেনা নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমরাসের চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে সেনাঘাটিতে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তবে ইউক্রেনের দাবী হামলায় অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে প্রাণহানির এ সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো এ পর্যন্ত তাদের প্রাণহানির যেসব সংখ্যা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এটিই এক হামলায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দোনেস্কের মাকিভকা শহরের একটি ভোকেশনাল কলেজকে অস্থায়ী সেনাঘাটিতে বানানো হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমরাস দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় কিয়েভ। এতে অস্থায়ী সেনাঘাটিটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
এদিকে, রুশ সেনা কমান্ডারদের উদাসীনতার ফলে এত বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। একইসঙ্গে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন তারা।
রাশিয়ার প্রভাবশালী সামরিক ব্লগার ইগর গিরকিন জানান, সেনাঘাটিতে সেনাদের পাশাপাশি বিপুল অস্ত্রের মজুদ ছিল। একই যায়গায় সেনাঘাটি ও অস্ত্র রাখায় এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় রাশিয়ার সেনা কমান্ডারদের দায়ী করেছেন তিনি।
একই ভবনে এত বেশি সেনাদের রাখার সিদ্ধান্তকে সেনা কমান্ডারদের উদাসীনতা উল্লেখ করে আরেক রুশ ব্লগার আরচেঙ্গেল বলেন, মাকিভকাতে যা হয়েছে তা ভয়াবহ। কার বুদ্ধিতে এত বেশি সেনাকে এক ভবনে রাখা হয়েছে? একজন বোকা মানুষও বুঝতে পারে এক ভবনে বেশি সেনা থাকলে আর্টিলারির আঘাতে বেশি হতাহত হবে।