কুড়িগ্রামে একটি বিদ্যালয় ও তার চারপাশের গাছপালা ঘিরে বসেছে প্রায় ৬ শতাধিক মৌচাক। স্কুলের কার্নিশ, সিলিং আর জানালায় বসেছে মৌমাছিদের গড়ে তোলা শত শত মৌচাক। এক সঙ্গে এত মৌচাক দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন এখানে। তবে, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ গোটা গ্রামের মানুষের সময় কাটছে আতংকে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চৌদ্দঘড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চরাঞ্চলের এই বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছর এই সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির দল মৌচাক বসায়। এত এত মৌমাছি উড়ে বেড়ানোয় আতঙ্কে দিন কাটায় গ্রামবাসীর। যদিও নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই চার মাসে প্রতি সপ্তাহে স্থানীয়রা সংগ্রহ করতে পারেন এক থেকে দেড়মন মধু।
নারায়ণপুর ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক মৌচাকসহ গ্রামটিতে ছয়’শর বেশি মৌচাক বসেছে।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, এই চরের আশেপাশে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার চাষ হওয়ায়, এখানে মৌচাকের সংখ্যাও বেশি। গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকলেও মৌমাছির এই আনাগোনাকে ইতিবাচক বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।