পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সাফল্যের ১১ বছরে পদার্পণ করল। গত ১০ বছরে এই স্কুলটি বহু শিক্ষার্থীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে।
পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সামুদাবাদ রোড (চৌরাস্তার একটু উত্তর দিকে) মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশে দাঁড়াতে। নির্দিষ্ট সময়ের পর গেট বন্ধ হয়ে যাবে। স্কুলের ইউনিফর্ম পরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী। যা তাদেরকে অতুলনীয় করে তুলেছে। স্কুলটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ক্রমেই একে একে সাফল্যের সিঁড়ি পেরোতে থাকে। এরই মধ্যে কয়েকবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের তালিকায় উঠে যায় এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
একাডেমিক শিক্ষার সাফল্য ছাড়িয়ে ক্রমেই মানুষ হওয়ার এমন নৈতিক শিক্ষারও সুতিকাগার হয়ে উঠেছে এই স্কুল। দুই শিফটে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এই স্কুলে। নানান নিয়ম আর শৃঙ্খলার মধ্যেই চলে শিক্ষা গ্রহণের আয়োজন। স্কুলের অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীর নৈতিক চিন্তাচেতনার জায়গাটিরও বিস্তৃতি ঘটাতে প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারটি ভবিষ্যৎ জীবনে রাখে বড় প্রভাব। গর্বের জায়গাও হয়ে দাঁড়ায় কখনো। এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল হক মিয়াজী বলেন, স্কুলটি সুন্দরভাবে চলছে। এরই মধ্যে উপজেলার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। যা আমাকে গর্বিত করে।
এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতু বলেন, এই স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন। তারা বিদ্যালয়েই পাঠদান শেষ করে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ঘটানো আপ্রাণ চেষ্টা করেন। স্কুলটি এত তাড়াতাড়ি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে পরিনত হবে তা আমি ভাবতে পারি নাই। এই বিদ্যালয়ের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ আল মামুন হক মিয়াজী বলেন, আমার বাবা স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করে এর শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। আমার এই স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত দক্ষ এবং দায়িত্বশীল।
তারা অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আমার এই স্কুল থেকে পড়ে অনেকে বিভিন্ন ক্যাডেট স্কুলসহ দেশের সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। এমনকি আমার এই স্কুলের শিক্ষার্থী আরাধ্যা মল্লিক অর্থি এখন তার বাবা মায়ের সাথে কানাডায় গিয়ে একটি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। তিনি আরও বলেন, এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এখন প্লে থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি চলছে। আপনারা আপনাদের শিশুদেরকে এই স্কুলে ভর্তি করে তাকেও যোগ্য মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
মনে রাখবেন আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, এম.এম. ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি সুনামের সাথে চলছে। তাদের পাঠদান ও লেখাপড়ার মান অনেক ভালো।